• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সেজে প্রতারণা, শিয়ালদহ থেকে গ্রেপ্তার মহারাষ্ট্রের দুই প্রতারক

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি মোবাইল, একটি সিমকার্ড, এবং একাধিক ব্যাঙ্কের নথি।

প্রতীকী চিত্র।

সিবিআই আধিকারিক নয়, এবার দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সেজে প্রতারণা শহরে। প্রতারিত হয়েছেন চারুমার্কেট এলাকার এক বৃদ্ধা। অভিযোগ, তাকে মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে হাতানো হয় ৬৬ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা। পরে ঘটনার কথা জানতে পেরে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে শিয়ালদহের এক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দুই প্রতারককে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি মোবাইল, একটি সিমকার্ড, এবং একাধিক ব্যাঙ্কের নথি।

ঘটনার সূত্রপাত গত নভেম্বর মাসে। সূত্রের খবর, নিজেদের দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয়ে কলকাতার বৃদ্ধাকে। অভিযোগ, ফোনে বলা হয় তার নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। যার জন্য জেল পর্যন্ত হতে পারে বৃদ্ধার। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পেয়ে যান বৃদ্ধা। আর সেই সুযোগেই মামলা রফা করার টোপ দেয় প্রতারকরা। অভিযোগ, মামলা রফা করার নামে দফায় দফায় নেওয়া হয় ৬৬ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা। ঘটনাচক্রে পাকে পড়েছেন বৃদ্ধা, তা বুঝতে পেরেই চারুমার্কেট থানায় অভিযোগ জানান তিনি। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আর তাতেই ধরা পড়ে দুই প্রতারক ধনজি জগন্নাথ শিন্ডে (৩৬) এবং বিনোদ পাওয়ার (৪০)। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।

প্রতারিত বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হয় প্রতারকদের লোকেশন। আর তাতেই দেখা যায় শিয়ালদহের এক হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছে দু’জনেই। সেই মোতাবেক, মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ধনজি এবং বিনোদ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক ব্যাঙ্কের নথিসহ তিনটি স্মার্টফোন এবং সিমকার্ড। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারে, ৬৬ লক্ষ টাকা গিয়েছে ধনজির এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, ধনজি এই চক্রের মূলপাণ্ডা। তবে এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।

প্রসঙ্গত, এ শহরে বিগত কয়েকমাস ধরে চলছিল ভুয়ো সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চক্র। সে ক্ষেত্রে বিশেষ করে টার্গেট করা হতো শহরের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং গয়নার দোকানিদের। ওই চক্রের তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।