মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর তিনটি শাখার মধ্যে শিলিগুড়ি শাখা ছাড়া বাকি দুটি কার্যত নিষ্ক্রিয়। অভিযোগ উঠেছে, আরজি কর ঘটনার পরবর্তী বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাকি দুটি শাখার চিকিৎসকদের অংশগ্রহণ খুব একটা দেখা যায়নি। এর ফলে কিছু চিকিৎসকের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এমনকি শিলিগুড়ির দুই বঙ্গরত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছে। এই বিষয়ে শিলিগুড়ি আইএমএ’র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চিকিৎসকরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন। তবে ডাঃ শেখর চক্রবর্তী ও ডাঃ পিডি ভুটিয়া, যাঁরা ওই পুরস্কারপ্রাপ্ত, তাঁরা সম্মান ফেরানোর পক্ষে নন।
শিলিগুড়িতে আইএমএ’র তিনটি শাখা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে — শিলিগুড়ি শাখা, গ্রেটার শিলিগুড়ি শাখা এবং শুশ্রুতনগর শাখা। শিলিগুড়ি শাখায় কিছু মতবিরোধের কারণে ডাঃ রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য গ্রেটার শিলিগুড়ি শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে পরবর্তীকালে কয়েকজন চিকিৎসক যোগ দেন। বর্তমানে ওই শাখার বেশিরভাগ সদস্য শিলিগুড়ি শাখায় ফিরে এসেছেন। প্রবীণ চিকিৎসক ডাঃ নির্মল বেরা জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেকেই শিলিগুড়ি শাখায় সদস্যপদ নিয়েছেন।
শিলিগুড়ি শাখায় বর্তমানে ৫৩৭ জন সদস্য আছেন এবং এই শাখাটিই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য শাখার চিকিৎসকরাও এই শাখার সদস্যপদ নিচ্ছেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা কিছু বছর আগে শুশ্রুতনগর শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে শুধুমাত্র মেডিকেলের চিকিৎসকরাই সদস্যপদ নিয়েছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে সদস্যদের অধিকাংশই বদলি হয়ে যাওয়ায়, শাখাটি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। শুশ্রুতনগর শাখার সম্পাদক ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন যে, শাখাটি পুনরায় সক্রিয় করার প্রচেষ্টা শুরু হবে।
আরজি কর ঘটনার সুবিচারের দাবিতে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁদের বঙ্গরত্ন সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন, এবং শিলিগুড়ির বহু চিকিৎসকও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে শিলিগুড়ির দুই চিকিৎসক এখনও তাঁদের সম্মান ফেরত না দেওয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁদেরকে দ্রুত সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে দুই চিকিৎসক এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।