‘হলুদ ট্যাক্সি’ বাঁচাতে সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী

ফাইল চিত্র

বর্তমানের ব্যস্ত সময়ে দ্রুত ও কম পয়সায় গন্তব্যে পৌঁছতে ‘অ্যাপ ক্যাব’-এর গুরুত্ব অপরিসীম। যার জেরে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে শহরের ‘হলুদ ট্যাক্সি’। কৌলিন্য হারাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী পরিবহণ ব্যবস্থা। তার মধ্যেই মড়ার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো ‘১৫ বছরের বয়সসীমা’ ট্যাক্সি মালিক তথা চালকদের যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ফলে রীতিমতো অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে ‘হলুদ ট্যাক্সি’। পাশাপাশি, এই ট্যাক্সিগুলির চালকদের রুটি রুজি বন্ধ হওয়ার উপক্রম শুরু হয়েছে।

পনেরো বছরের বয়সসীমার ফলে পুরনো ট্যাক্সিগুলিকে পাল্টানোর প্রয়োজন পড়লেও বিপুল খরচ করে চালকদের পক্ষে নতুন ট্যাক্সি কেনার সামর্থ একেবারেই নেই। যার জেরে পরিবহন দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এব্যাপারে ট্যাক্সিচালকদের একাধিক সংগঠন পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছে। সেইসঙ্গে চালকদের জন্য নতুন ট্যাক্সি কেনার ক্ষেত্রে সরকার যাতে সহায়ক নীতি নেয়, সেই আর্জি জানিয়েও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। এই সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মঙ্গলবার তিনি এআইটিইউসি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে পুরনো হলুদ ট্যাক্সির বদলে নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য গাড়িগুলিকে কিভাবে হলুদ ট্যাক্সির স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে হলুদ ট্যাক্সির পার্কিং সমস্যা, যাত্রী সাথী অ্যাপের ভাড়ার হারে সংস্কার এবং হলুদ ট্যাক্সির মিটারে চালু করা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় হাওড়ার প্রি-পেইড বুথ থেকে চালকদের ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যার কথা ট্যাক্সি সংগঠনের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সব সমস্যা খতিয়ে দেখার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।