অভয়ার বিচার চেয়ে শহরে মশাল মিছিল

অভয়ার বিচার চেয়ে বিরাট মশাল মিছিল দেখল কলকাতা। শুক্রবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নামলেন নাগরিক সমাজ। রাত দখল, ভোর দখলের পর এবার রিলে মশাল মিছিল দেখল এই শহর। এদিন বাইপাসের হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার র‍্যালির ডাক দিয়েছিল নাগরিক মঞ্চ।

এই নাগরিক উদ্যোগের আয়োজকেরাও বলেছেন, ‘মিছিলে যোগদানের পূর্ব শর্ত, দলের ঝাণ্ডা নিয়ে আসা যাবে না।’ এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে’। এছাড়াও ‘বিচার দাও’, ‘আর জি করের বিচার চাই’ এই দাবিকে সামনে রেখে এদিন হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত এই মশাল মিছিল চলছে। এই মিছিল বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা, ক্রসিং মিলিয়ে মোট ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে এই মিছিল। ইতিমধ্যে আবালবৃদ্ধবণিতা বহু মানুষ এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন। কারুর হাতে প্ল্যাকার্ড, তাতে লেখা ‘তিলোত্তমা একটি আন্দোলনের নাম’। আবার কারুর মুখে স্লোগান ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’।

এদিন এই মিছিল রাত ১২টায় শ্যামবাজারে গিয়ে শেষ হয়। বিচারের দাবিতে মিছিলে পা মিলিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। শুক্রবারের এই মিছিল থেকে বারাবার তিলোত্তমা হত্যার বিচারের দাবি উঠেছে। বলাই বাহুল্য, এতে খানিকটা চাপ বাড়ল সিবিআইয়ের উপরেও। এদিনের মিছিলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক।


এছাড়াও এদিন প্রচুর শিল্পী পথে নেমেছেন। ওদিকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাত দখলের আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির গবেষক ছাত্রী রিমঝিম সিনহা। তিনি শুক্রবারের মশাল মিছিলের অন্যতম আয়োজক। তিনি জানান, রাত দখলের কর্মসূচির দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল আরজি করের ঘটনায় দোষীদের সাজা না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এদিনের মিছিল চলমান আন্দোলনের আর একটি ধাপ।

জানা গিয়েছে,  সরকারি-বেসরকারি  হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ছাড়াও সর্বস্তরের স্বাস্থ্য কর্মী, স্কুল পড়ুয়া, শিক্ষক, লেখক শিল্পী, চলচ্চিত্র, নাট্য কর্মী-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এদিনের মশাল মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও এদিন এই মিছিল এসএসকেএম-সহ বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের পাশ দিয়ে যায়। উদ্যোক্তারা আরজি কর হাসপাতালে মশাল নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে এখন মিটিং মিছিলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে যাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে রাতে শ্যামবাজার এসে মিছিল শেষ হয়।