• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নারী নিরাপত্তায় তৎপর টলিপাড়া, ‘সুরক্ষা-বন্ধু’ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ 

মহিলা সদস্যকে কেউ উত্যক্ত করার প্রয়াস করলে, তৎক্ষণাৎ সেই সদস্য "সুরক্ষা বন্ধু" কমিটির দ্বারস্থ হতে পারবেন

নারী নিরাপত্তায় এবার তৎপর হলো টলিপাড়া। ‘সুরক্ষা-বন্ধু’ নামাঙ্কিত একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাংলার সিনে জগতের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে, শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করা হলো ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স এন্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। বিভিন্ন গিল্ডের সদস্যদের মধ্য থেকে মহিলা প্রতিনিধিদের নিয়ে এই ফেডারেশন একটি কমিটি বা নির্বাহী সমিতি প্রতিষ্ঠা করবে। ফেডারেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রি-প্রোডাকশন, প্রোডাকশন অথবা পোস্ট প্রোডাকশন অর্থাৎ সিনে দুনিয়ার কর্মক্ষেত্রের যেকোনো জায়গায় কোনো মহিলা সদস্য যদি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণ, অশালীন ইঙ্গিত বা আচরণ, বা যেকোনো রকম অরক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়লে অথবা বৈদ্যুতিন মাধ্যম (যেমন মোবাইল ফোন) ব্যবহার করে মহিলা সদস্যকে কেউ উত্যক্ত করার প্রয়াস করলে, তৎক্ষণাৎ সেই সদস্য “সুরক্ষা বন্ধু” কমিটির দ্বারস্থ হতে পারবেন এবং কমিটির কাছে তাঁকে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে বা ই-মেলে অভিযোগ পাঠাতে হবে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটির সদস্যগণ অভিযোগকারিনীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন। ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই কমিটি গঠনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই ফেডারেশনের তরফ থেকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের মুখ্য নগরপাল ও রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর-জেনারেলের কাছে। ফেডারেশনের আশা, পুলিশের তরফ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা মিলবে।
এখানেই শেষ নয়, কলকাতার একাধিক আইনজীবীরাও যুক্ত হয়েছেন ‘সুরক্ষা বন্ধু’ এর হাত ধরে নারী নিরাপত্তা প্রদানের কাজে। ফেডারেশন জানিয়েছে, ‘সুরক্ষা বন্ধু’ এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কয়েকজন আইনজীবী যাঁরা ‘কেস টু কেস’ অর্থাৎ প্রতিটি অভিযোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে আইনি পদক্ষেপ করবেন। সেক্ষেত্রে আদালত ব্যয় ও আইনজ্ঞের পেশাদারি পারিশ্রমিকের ব্যয়ভার যদি অভিযোগকারিনী বহন করতে অসমর্থ হন তাহলে সেই ব্যয়ভার বহন করবে ফেডারেশন অথবা আইনজীবীরা বিনা পারিশ্রমিকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি বি পি পোদ্দার হাসপাতাল ও মেডিক্যাল রিসার্চ লিমিটেডের গ্ৰুপ সিইও এই কমিটির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স। সেক্ষেত্রে কোনো অভিযোগকারিনীর যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষা অথবা মনোবিজ্ঞান গত সহায়তার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এই হাসপাতাল পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই নিজ তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা খোলসা করে সরব হতে থাকেন টলিপাড়ার মহিলা সদস্যরা। বাংলার সিনে জগতের মহিলাদের সুরক্ষায় একটি কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তারই প্রেক্ষিতে ‘সুরক্ষা-বন্ধু’ নামাঙ্কিত একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স এন্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফ থেকে।