অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে হোমিওপ্যাথি কলেজের ৩ জুনিয়র চিকিৎসক গ্রেপ্তার বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের হাতে। তরুণী সহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে, যার মধ্যে তিনজনই হোমিওপ্যাথি কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। শুক্রবারই ধৃতদের বিধাননগর মহাকুমা আদালতে তোলা হয়৷ তবে কী প্রতারণার ছক কষেছিলেন তাঁরা?
বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের একটি শপিং মলে এই চারজনের যাওয়া আসা ছিল। সেখানে গিয়ে ওই মলের নতুন জামা-কাপড় থেকে বার কোডের স্টিকার তুলে দিয়ে নতুন স্টিকার লাগিয়ে দিতেন অভিযুক্তরা। এরপর সেই কাপড় নিয়ে কাউন্টারে যেতেন এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে নির্দিষ্ট পোশাক কিনতেন।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকের একটি শপিং মলে গিয়ে একই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাঁরা। তবে এদিন ভাগ্য সাথ দেয়নি! এরপর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কাউন্টারে বিল করাতে যান। সেই সময় বিলিং সেকশনের কর্মীদের সন্দেহ হয় তাঁদের দেখে। কর্মীরা লক্ষ্য করেন, যে জামা-কাপড় তাঁরা নিয়ে এসেছেন, তার দাম যথেষ্ট বেশি হওয়া সত্ত্বেও নির্দিষ্ট স্টিকারে কম মূল্য ধার্য করা। এরপরই শপিং মল কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়েও দেখে।
এরপরই জল্পনার অবসান। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। তৎক্ষণাৎ পুলিশ তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অবশেষে গ্রেপ্তার করে। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই কার্যে রীতিমতো হতবাক পুলিশ এবং শপিং মল কর্তৃপক্ষ।