মঙ্গলবার, সন্দীপ ঘোষকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। গতকাল আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এরপর তাঁকে সারারাত নিজাম প্যালেসে রাখা হয়। এদিন দুপুরে নিজাম প্যালেসের দপ্তর থেকে বেরিয়ে তাঁকে আলিপুরের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বার করার সময় তাঁকে দেখেই কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ধরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে থাকে আমজনতা। সেই সব কাটিয়েই সন্দীপকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। আদালত চত্বরেও সন্দীপের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
গত ৯ আগস্ট আরজি করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মহলে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে ক্ষোভের আক্রোশ বাড়তে থাকে। এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে গত ১৬ আগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন সন্দীপ। প্রত্যেক দিনই প্রায় ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা টানা ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গত শনি এবং রবিবার শুধু হাজিরা দিতে হয়নি তাঁকে। সোমবার আবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজ়াম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। সেদিন রাতে সিবিআই সন্দীপ ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এই তিনজনেরও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যথেষ্ঠ যোগসাজশ আছে বলেই সন্দেহ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন আফসার আলী, সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিনহা। আলী হলেন সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, এবং সিনহা ও হাজরা হলেন মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহকারী, যারা প্রাক্তন অধ্যক্ষের সময় আরজি কর-এ সরঞ্জাম সরবরাহ করতেন। এদিন আদালতে প্রাক্তন অধ্যক্ষের সঙ্গে সঙ্গে এই তিনজনকেও হাজির করানো হয়। এদিনের শুনানিতে ধৃত চারজনকেই ৮ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।