সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বে, মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীব শর্মার পরিচালনায় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে টানা পাঁচ দিনের (৪০ ঘণ্টা) মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র মিডিয়েশন ট্রেনার কে.কে মাখিজা এবং নাগিনা জৈন এই প্রশিক্ষণ পর্বে প্রশিক্ষক হিসেবে নেতৃত্ব দেন।
কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( লিগ্যাল) এবং মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড. শুভাশিস মুহুরি জানান, তৃতীয় পর্যায়ে সমাজের বিভিন্নস্তরের ২৮ জন মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। এই কমিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জমে থাকা মামলাগুলির দ্রুত নিস্পত্তি ঘটানো। ৩ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার নিউটাউন-রাজারহাট এলাকায় অবস্থিত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়েছিল।
এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন দু’জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি – শুভাশিস দাশগুপ্ত এবং মাননীয় সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী। এর পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের রেজিস্ট্রার দেবপ্রসাদ নাথ, প্রেসিডেন্সি স্মল কজেস কোর্টের চিফ জজ আশুতোষ কুমার সিং, কলকাতার ফ্যামিলি কোর্টের প্রিন্সিপাল জজ গোপালচন্দ্র কর্মকার, রাজ্য অনুসন্ধান বিভাগের কমিশনার জনাব রশিদ আলম। রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে ২০ জন আইনজীবী ছিলেন মিডিয়েশন প্রশিক্ষণে।
এবার কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি আইনমহলের বৃত্তের বাইরে শ্রীমতী মহুয়া ঘোষ (সিএ) এবং সাংবাদিক ও সাহিত্য সংগঠক মোল্লা জসিমউদ্দিনকে এই প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করেছিল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে মিডিয়েটর নিয়োগ করে নিদিষ্ট সময়সীমা বেঁধে বিচারধীন মামলাগুলি বাদী-বিবাদী পক্ষের আলাপ আলোচনায় দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে।