ডিজিট্যাল বিজ্ঞাপনের পথে হাঁটছে টালা প্রত্যয়

রাস্তার উপর নেই ব্যানার, থাকছে না বাঁশের খুটিতে লাগানো পরিবেশ প্রতিকূল রাশিরাশি ভিনাইল ফ্লেক্স! পুজোর এই অতি পরিচিত রূপের দেখা মিলবে না এবার টালা প্রত্যয়ের বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনায়৷ বিজ্ঞাপন দাতা বা কর্পোরেট সংস্থার বিজ্ঞাপনের ব্যানারে ছেয়ে যায় পুজো-প্রাঙ্গণ৷ যে সমস্ত সামগ্রী দিয়ে এসব ফ্লেক্স তৈরি হয়, তা পরিবেশ বান্ধব নয় একেবারেই৷ অতএব প্রতিবছরই পুজোর পর শহরে জুড়ে বিপুল পরিমাণে অনিষ্কৃত বর্জ্য জমা হয়৷ নালা-নর্দমায় জমা হয় ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ৷ যা স্থায়ীভাবে শহরের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ তাই এবারে ফ্লেক্সের ব্যবহারের বদলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ৷ কলকাতার প্রথম পুজো হিসেবে টালা প্রত্যয়ের প্রথম এই ভাবনা ৷

উত্তর কলকাতার অন্যতম খ্যাতনামা পুজো টালা প্রত্যয়ের ৷ প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও শারদোৎসবে শামিল হচ্ছেন তাঁরা ৷ উৎসবে মাতলেও যথেষ্ট সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে এবারের ভাবনা ৷ থিম ভাবনা তো রয়েছেই, তবে শহরের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে বিশেষভাবে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন উদ্যোক্তারা৷ কলকাতার পুজোয় মন্ডপে-মন্ডপে, রাস্তায়-রাস্তায় বিজ্ঞাপনের আধিপত্য দেখা যায়৷ বাঁশের খুটিতে ফ্লেক্স ঝুলতে দেখা যায় শহরের আনাচে-কানাচে৷ সেই সব ফ্লেক্সের ব্যবহারে প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ তাই ডিজিটাল মাধ্যমে এবারের ভাবনা ভেবেছেন টালা প্রত্যয়৷

পুজোর সময় দশনার্থীরা প্যান্ডেলে হেঁটে প্রবেশ করেন, স্থির থেকে কেউই বিজ্ঞাপন দেখেন না৷ এক্ষেত্রে দর্শকদের এগিয়ে চলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তিত হবে বিজ্ঞাপন৷ পরের বছরেই ১০০ বছরে পা দেবে টালা প্রত্যয়ের পুজো৷ এবারে ৯৯ তম বছরেও থাকছে বিশেষ চমক৷ এবারের থিম ‘বিমূর্ত’৷ তবে থিম নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ উদ্যোক্তারা৷ এবারও মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী সুশান্ত পাল৷ আয়োজকদের দাবি, প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও মণ্ডপ সজ্জায় থাকবে বিশেষ চমক৷