• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

ট্যাব দুর্নীতি: তদন্তে সিট গঠন কলকাতা পুলিশের

'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে পড়ুয়াদের আবেদন করা থেকে শুরু করে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসা পর্যন্ত যে যে প্রক্রিয়া রয়েছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার মোট আটটি গ্রামে অভিযান চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ।

কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ফাইল চিত্র

প্রতিমুহূর্তে লাফিয়ে বাড়ছে ট্যাব কাণ্ডে প্রতারিতদের সংখ্যা। রাজ্য পুলিশের সূত্র বলছে, রাজ্যে মোট ৭৮১জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ট্যাবের টাকা। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সরশুনা, যাদবপুর, মানিকতলা, ওয়াটগঞ্জ, জোড়াবাগান, ভবানীপুর, কসবা, বেনিয়াপুকুর এবং গলফগ্রীন থানা মিলিয়ে মোট প্রতারিত হয়েছেন ১০৭জন। অর্থাৎ গত চব্বিশ ঘণ্টায় প্রতারিত হয়েছেন জনা চল্লিশের বেশি স্কুল পড়ুয়া। যার তদন্তে এবার ১০ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল বা (সিট) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর অর্থাৎ বিকাশভবনে সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গিয়েছিল সেই সিট।

সূত্রের খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের আবেদন করা থেকে শুরু করে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসা পর্যন্ত যে যে প্রক্রিয়া রয়েছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার মোট আটটি গ্রামে অভিযান চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। আর তাতেই ধরা পড়ে কৃষ্ণপদ বর্মন এবং সরিফুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি। ধৃতদের আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনার তদন্তে নেমে চোপড়া থেকেই এই চক্র চালানো হচ্ছে বলে প্রাথমিক অনুমান কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। পাশাপাশি, যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হতো, তার বেশিরভাগেরই মালিক বয়স্ক। যাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের ব্যাঙ্কে লেনদেন নিজে করেন না বলেই জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, প্রতি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হতো তিনশো থেকে পাঁচ হাজার টাকা কমিশনের ভিত্তিতে।