প্রথমে দূর সম্পর্কের শ্যালিকাকে ডেকে নানা অছিলায় ধর্ষণ। তারপর ধর্ষণের ফুটেজ ক্যামেরাবন্দি করে দেদার ব্ল্যাকমেল। তবে শেষ পর্যন্ত দূর সম্পর্কের জামাইবাবুর সমস্ত কুকীর্তি ফাঁস করে দিয়েছিল তরুণী। সেই মতো শনিবারই হরিদেবপুর থানায় অভিযুক্ত জামাইবাবু ঝন্টু ঘোষের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ওই তরুণী। পরে থানায় অভিযোগ হয়েছে খবর কানে যেতেই রাতের অন্ধকারে তরুণীর বাড়িতে হানা দিয়ে করে গুলি। যদিও বরাত জোরে বেঁচে যায় ওই তরুণী।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানার কবরডাঙা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় ফাস্ট ফুড বিক্রেতা ঝন্টুর দূর সম্পর্কের শ্যালিকার সঙ্গে এই আচরণ শুরু করেছিল বছর চারেক আগে থেকে। মাঝে মধ্যে কখনও দোকানে আবার কখনও শহরের বাইরের হোটেলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে নিয়ে যেত অভিযুক্ত।
তবে আর সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে হরিদেবপুর থানায় ঝন্টুর নামে অভিযোগ দায়ের করে তরুণী। সেই খবর কোনওক্রমে জানতে পরে কীর্তিমান জামাইবাবু। সেই রাগে রাতে মদ্যপ অবস্থায় তরুণীর ঘরে হানা দিয়ে পকেট থেকে পিস্তল বের করে দু’রাউন্ড গুলি চালায় অভিযুক্ত। গুলির শব্দে চিৎকার করতেই ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তবে সেই মুহূর্তে অভিযুক্ত পালিয়ে বাঁচলেও পরে ধরা পরে পুলিশের হাতে। উদ্ধার করা হয় মুঙ্গেরে তৈরি পিস্তল এবং গুলি। ঝন্টু ওই পিস্তল কোথা থেকে পেল তা জানতে, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।