আরজি কর এলাকায় জারি ১৬৩ ধারা

গত আগস্টে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার পরেই গোটা এলাকা জুড়ে এক সপ্তাহের জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা(পুরোনো সিআরপিসি আইনের ১৪৪ ধারা) জারি করে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তৎকালীন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। ঘটনার পর প্রায় মাস দুয়েক অতিক্রান্ত হলেও একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে সেই সময়সীমা। ঘটনাচক্রে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ এখনও থামেনি। মঙ্গলবার যখন রেড রোড মেতে উঠেছে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে, ঠিক তখনই তিলোত্তমা দেখেছে দ্রোহের কার্নিভাল। আর তারই মধ্যে আবার নতুন করে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে লাগু করা হল ১৬৩ ধারা। উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে মঙ্গলবার রাতেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বুধবার লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত, অর্থাৎ টানা ১৫ দিন আরজি কর সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায় বেআইনি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন নতুন নগরপাল মনোজকুমার ভার্মা। মূলত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে শ্যামপুকুর, উল্টোডাঙা ও টালা থানার অন্তর্গত বেলগাছিয়া রোড, জে কে মিত্র রোড ক্রসিং এবং শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আরজি কর আবহে যেখানে প্রতিদিন চলছে বিক্ষোভ, অনশন, সেখানে নতুন করে যেন কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই এই উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট রাতে ধর্ষণ করে খুন করা হয় আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ আগস্ট রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন মহিলারা। বস্তুত, সেই রাতেই হামলা হয় হাসপাতালে। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালে ব্যবহৃত একাধিক সামগ্রী। মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদেরও। ঘটনার পরেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জারি করা হয় ১৬৩ ধারা।