• facebook
  • twitter
Saturday, 12 April, 2025

স্কুলের ঘন্টা বাজাবে কে, গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি যেতেই চিন্তায় স্কুল

একেই স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে। তার মধ্যে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি যাওয়ায় পরীক্ষা শুরু ও পরীক্ষা শেষের সময় ঘন্টা বাজানোর কেউ নেই।

ফাইল চিত্র

সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন স্কুলের একমাত্র চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। ছুটির সময় ক্লাসের শেষে স্কুলের ঘন্টা বাজাবে কে? ছুটির পর দরজা বন্ধ থেকে শুরু করে যাবতীয় দপ্তরীর কাজই বা কে করবে, সেই চিন্তাই ভাবাচ্ছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার চরমণ্ডল সিএমপিপিবি ফুলমোহন হাই স্কুলের ঘটনা। চাকরি হারানোর তালিকায় এই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মীরাও রয়েছেন। গ্রুপ সি বিভাগের কর্মী সন্তু দাস এবং গ্রুপ ডি বিভাগের কর্মী বিপ্লব বিশ্বাস চাকরি হারিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর চোখের জলে স্কুল ছেড়েছিলেন দুই অশিক্ষক কর্মী। সহকর্মীদের কষ্টে মুষড়ে পড়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তবে অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি খোয়া যাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

গ্রুপ ডি বিভাগের কর্মী বিপ্লব বিশ্বাস ক্লাসের শেষে, স্কুলের শেষে ঘন্টা বাজাতেন। স্কুলের দরজা বন্ধ খোলা থেকে শুরু করে স্কুলের নিরাপত্তা সহ একাধিক কাজের ভার ছিল তাঁর উপর। বাগদার চরমণ্ডল সিএমপিপিবি ফুলমোহন হাই স্কুলে এখন পরীক্ষা চলছে। একেই স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে। তার মধ্যে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি যাওয়ায় পরীক্ষা শুরু ও পরীক্ষা শেষের সময় ঘন্টা বাজানোর কেউ নেই। ফলে সমস্যা হচ্ছে পড়ুয়াদের। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

আপাতত স্কুলের এক মিড ডে মিলের কর্মীকে পরীক্ষার সময়ে ঘন্টা বাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের জল দেওয়া থেকে শুরু করে খাবার দেওয়ার কাজ করছেন সেই মিড ডে মিলের কর্মীই। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বাকি কাজ সামলাচ্ছেন। এমনকি স্কুল ছুটির পর স্কুলের দরজা বন্ধ করছেন স্কুলের শিক্ষকেরাই।

প্রসঙ্গত এই স্কুলেরই একমাত্র ভূগোল শিক্ষক ও জীববিদ্যার শিক্ষকের চাকরি খোয়া গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এই মুহূর্তে স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ১২০০। ভূগোল, জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক একজন করেই ছিলেন। সোমবার থেকে এই দুই ক্লাস নেবেন কারা, তা নিয়ে চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক নির্মাণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুজন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে গেল। এখন পিরিয়ড শেষে ঘন্টা কে বাজাবে, তাছাড়া দুজন শিক্ষক চলে যাওয়ায় পড়ুয়াদের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। সেজন্য প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর বাংলার অধিকাংশ স্কুলের ছবিটা ঠিক এরকমই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিনমাসের মধ্যে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেই সমস্যার সমাধান হবে কিনা তা সময় বলবে।