• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আরজি করের নির্যাতিতার শরীরে কি সঞ্জয়ের কামড়ের ক্ষত? দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করতে জেলে গেল সিবিআই

সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর চোয়ালের ডানদিকের অংশে ও গলার উপরের দিকের অংশে একটি দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। সেই চিহ্নটিকেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে 'সার্কিং মার্ক/লাভ বাইট মার্ক' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। ফাইল চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত তরুণীর শরীরে থাকা কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের কি না সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে এবার ফরেনসিক পরীক্ষা করল সিবিআই। বুধবার রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সঞ্জয়ের দাঁতের পরীক্ষা করেন ফরেনসিক দন্ত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁর দাঁত ও চোয়ালের রেডিওগ্রাফ করা হয়। এদিন তাঁর দাঁতের ধরন ও গড়নের পরীক্ষাও হয় বলে জানা গিয়েছে ।

উল্লেখ্য, বুধবার সঞ্চয় রায়ের দাঁতের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানান সিবিআই আধিকারিকরা। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর বিকেলেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যান তাঁরা। রাতেই সেখানে সঞ্জয়ের দাঁতের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়।
এদিন ধৃত সঞ্জয় রায়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর কামড়ের নমুনা বা টিথ ইমপ্রেশনও সংগ্রহ করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর দেহের উপরিভাগে ১৬টি আঘাতের চিহ্ন আছে। এর মধ্যে ১০ টি আঘাত মুখ, গলা ও ঘাড়ের বিভিন্ন জায়গায়। এই আঘাতগুলির মধ্যে কয়েকটি কামড়ের জন্যেও হতে পারে বলে ধারণা সিবিআই আধিকারিকদের। এই আঘাতগুলির সঙ্গে সঞ্জয়ের কামড় ও লালারস মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন সঞ্জয়কে নরম একটি বস্তুতে কখনও আস্তে, কখনও জোরে কামড় দিতে বলা হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও অন্য কেউ জড়িত কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে সিবিআই । সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর চোয়ালের ডানদিকের অংশে ও গলার উপরের দিকের অংশে একটি দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। সেই চিহ্নটিকেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘সার্কিং মার্ক/লাভ বাইট মার্ক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। তদন্তভার গ্রহণের পর সঞ্জয় কয়েকদিন সিবিআই হেফাজতেই ছিল। বর্তমানে সে জেল হেফাজতে রয়েছে।