আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে টানা জেরা সিবিআইয়ের, বৃহস্পতির পর শুক্রতেও সিজিওতে সন্দীপ

ফের সিবিআই জেরার মুখে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। কী কারণে সন্দীপকে প্রতিদিন জেরা করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

১৫ অগস্ট তাঁকে সন্দীপ ঘোষকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। সেদিন অবশ্য হাজিরা দেননি সন্দীপ। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সন্দীপ ঘোষ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর ওই দিনই রাস্তা থেকে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন সন্দীপ। সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

তারপর থেকে প্রতি দিনই তাঁকে তলব করা হয়েছে। কখনও ১০ ঘণ্টা, কখনও ১২-১৩ ঘণ্টা সিবিআই দফতরে থাকতে হচ্ছে সন্দীপকে। বৃহস্পতিবার আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতেও গিয়েছিল সিবিআই। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে।


এদিকে সন্দীপ ঘোষের আমলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য সোমবার সিট গঠন করে কলকাতা পুলিশ। একমাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট।

সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে আরজি করের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেজন্য কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার থেকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। যদিও তিনি সেখানে হাজিরা দেননি। কবে হাজিরা দেবেন বা আদৌ দেবেন কি না, সেবিষয়েও মুখ খোলেননি সন্দীপ।

সপ্তাহ খানে আগে আর জি কর হাসপাতালে এক ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে।গত শুক্রবার রাতে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে ওই ট্রেনি চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হত্যার আগে তাঁকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে দোষ কবুলও করে। প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালালেও পরে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।