• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সন্দীপের ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত মামলা, গুরুত্ব দিল না হাইকোর্ট

আবেদনে সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, পারিবারিক খরচ এবং মামলা–সহ একাধিক খরচ সামাল দিতে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হবে। তবে এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সংসারে দেখা দিয়েছে অর্থের অভাব। তাই ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ চেয়েছিলেন তাঁর এই মামলাটি শুক্রবার হাইকোর্টে আগে শোনা হোক। কিন্তু সন্দীপের এই আর্জিতে আমলই দিল না আদালত।

শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে এই মামলাটি ৬৩ নম্বরে ছিল। সন্দীপের আইনজীবী এদিন আর্জি জানান, তাঁর মক্কেলের ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত মামলাটি আগে শুনতে হবে। এই আর্জি শুনে বিচারপতি জানিয়ে দেন, লিস্ট এগিয়ে আনা সম্ভব নয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আদালতে মামলা চালাতে সন্দীপের অনেক অর্থ খরচ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতেও অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে। এই কারণেই ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দীপ। ব্যাঙ্ক থেকে মোট ২০ লক্ষ টাকা তুলতে চেয়ে এই আবেদন জানানো হয়েছে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ৯ আগস্ট এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাসপাতালের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন। তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ জড়িত থাকায় সন্দীপের সম্পত্তিগুলি বর্তমানে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। তাই বর্তমানে তাঁর সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। এমনকী মামলার খরচ চালাতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। এই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দীপ। এই মামলাটি বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক শুনতে পারেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। আবেদনে সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, পারিবারিক খরচ এবং মামলা–সহ একাধিক খরচ সামাল দিতে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হবে। তবে এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য, ক্যানিং ২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলো বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি নিউটাউনের হাতিয়ারার নোয়াপাড়ায় সন্দীপের একটি তিনতলা বাড়িও আছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বেলেঘাটায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁরা। কিন্তু এসব সম্পত্তি তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। তাই এসব সম্পত্তি বিক্রি করার আবেদন জানানো হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলবন্দি রয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করের ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।