সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি। এক প্রৌঢ়ার বাড়ি থেকে লুট নগদ টাকা, সোনার গয়না। পুলিশ প্রৌঢ়ার পরিচারিকা ও কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সূত্রের খবর, ১৫ হাজার টাকার নগদ ও প্রচুর সোনার গয়না চুরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই লালবাজারের অপরাধ দমন শাখা এবং বড়তলা থানার পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
বাড়ির দুই পরিচারিকাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২৬/এ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বাসিন্দা বছর ৬৮-এর মধুমিতা মিত্রের তিনতলা বাড়িতে বুধবার রাতে ডাকাতি হয়। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। মেয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকে। আগে হাঁটাচলা করতে পারলেও সম্প্রতি পড়ে গিয়ে হাড় ভেঙে যায় তাঁর। বাড়িতে শয্যাশায়ী তিনি। প্রৌঢ়াকে দেখভালের জন্য রয়েছে পরিচারিকা। এছাড়া বাড়িতে কেয়ারটেকারও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ কেয়ারটেকার বাড়ির কলিং বেল বাজান। তিনতলা থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে গেট খুলে দেন বৃদ্ধা পরিচারিকা। পরিচারিকার দাবি, কেয়ারটেকারের জল শেষ হয়ে গিয়েছিল। তিনি জল ভরতে ভিতরে ঢুকছিলেন। সেই সময় এক দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে পড়ে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রৌঢ়াকে ভয় দেখিয়ে লুঠপাঠ চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিচারিকার বয়ান ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ওই পরিচারিকার বক্তব্য, কেয়ারটেকার আমাকে বলে জল খাব। আমি নীচে না এসে রিমোটের সাহায্যে গেট খুলি। তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। আমি আর কিছু জানি না। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। আর পরিচারিকা কিছুই টের পেলেন না। দুষ্কৃতী কী করে জানলো কখন গেট খোলা হবে? গেট খুলে দেওয়ারর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হল না কেন? এই জাতীয় প্রশ্নও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কেয়ারটেকার ও পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।