আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হল। শনিবার দুপুর নাগাদ পলিগ্রাফ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সিবিআই যে ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চলেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
আরজি কর হাসপাতালের চার স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পড়ুয়ারও পরীক্ষা নেওয়া হবে, যাঁরা ধর্ষণ ও খুনের রাতে হাসপাতাল চত্বরে একই বিল্ডিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারেরও পলিগ্রাফ টেস্ট হবে। এখনও পর্যন্ত এই মামলার একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তিনি।
নয়াদিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল এই পরীক্ষা করাতে এসেছে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার প্রেসিডেন্সি সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোমে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট দিনের সবার শেষে করা হতে পারে।
শুক্রবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয়কে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন। পলিগ্রাফ টেস্টের পুরো প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। কারণ সংশ্লিষ্ট সকলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা একই সময়ে পরিচালিত হবে না।
প্রোটোকল মেনেই চলতি সপ্তাহের গোড়ায় শিয়ালদহ আদালতে পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন করে সিবিআই। এই জাতীয় ক্ষেত্রে প্রোটোকলের দ্বিতীয় পর্যায়টি হল, যাদের উপর পরীক্ষা নেওয়া হবে তাদের সম্মতি পাওয়া।
৭ জনের সম্মতি পাওয়ার পর অবশেষে সিবিআইকে পরীক্ষা করানোর অনুমতি দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, পলিগ্রাফ টেস্টের ফলাফলগুলি আদালতে কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। তদন্তকারী সংস্থাগুলিতে সত্য জানার জন্য এটি ব্যবহার করে।