আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রসূনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলাতেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল আর একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সল্টলেকের অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। সেই দিন সন্দীপের আপ্তসহায়ক প্রসূনের সুভাষগ্রামের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর অফিসাররা। ৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তাঁরা। এমনকী প্রসূনকে আটক করে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এরপর বুধবার ফের তাঁকে ইডি অফিসে তলব করা হল।
৬ সেপ্টেম্বর প্রসূনের বাড়ি থেকে কয়েকটি সম্পত্তির নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি আধিকারিকরা। সেই সম্পত্তিগুলি প্রসূনের নামে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, প্রসূন যা আয় করেন সেই হিসাবে এই সব সম্পত্তি তাঁর পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, বূুধবার প্রসূনকে তাঁর সম্পত্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ইডি অফিসে ডাকা হয়েছিল। এই সম্পত্তি কেনার জন্য তিনি কোথা থেকে টাকা পেলেন সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর। তদন্ত চলাকালীন আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ প্রভাব খাটিয়ে তাঁকে নিজের আপ্ত সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন।
তদন্তের আরও উঠে এসেছে, প্রতিদিন সকালে প্রসূন ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসে হাজিরা খাতায় সই করে ৮ কিলোমিটার দূরের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চলে যেতেন। সেখানেই তিনি আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলাতেই ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।