শরীরের চাদর বারবার বদলানো হয়েছে বলে দাবি তরুণী চিকিৎসকের বাবা–মা’র, ব্যাখা দিল পুলিশ

আর জি করের তরুণী চিকিৎসক–পড়ুয়ার শরীরের চাদর একাধিকবার বদলানোর অভিযোগ করলেন তাঁর বাবা–মা। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে বা পরে মেয়ের শরীরে যে চাদর ছিল, তা বদলে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার ব্যাখা দিয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জি।

নির্যাতিতার বাবা দাবি করেন, হাসপাতালে যাওয়ার পর মেয়ের শরীরে সবুজ রঙের চাদর ছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে যে ছবি আগে দেখানো হয়েছে সেখানে শরীরের চাদর ছিল নীল রঙের। আবার অন্য একটি সূত্রে তাঁরা নাকি খবর পেয়েছেন, ঘটনার দিন রাতে মেয়ে লাল রঙের চাদর গায়ে দিয়ে শুয়েছিলেন।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জি প্রেস কনফারেন্স করে জানান, ওই তরুণী অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়েছিল। পরে একটি নীল রঙের চাদর দিয়ে তাঁর দেহ ঢাকা হয়। কোনও সবুজ চাদর ছিল না বলে দাবি করেন ইন্দিরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি লাল রঙের চাদর উদ্ধার হয়। যা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।


শুধু চাদর নয়, তরুণীর মৃতদেহের পজিশন নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা যে ছবি দিয়েছিলেন সেখানে দেখা গিয়েছে, মৃতদেহের একটি পা গদির বাইরে ছিল। কিন্তু বাবা–মায়ের বয়ান অনুযায়ী, পা দুটো ছিল গদির উপরেই। অর্থাৎ, মৃতদেহের স্থান বদল করা হয়েছে। কিন্তু কে মৃতদেহ সরালেন ? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

আর জি করের ঘটনার ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও হয়নি কোনও সুরাহা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কয়েকটি অডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান) ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এক মহিলা নিজেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পরিচয় দিয়ে মৃত তরুণীর বাবা–মা’কে ফোন করে হাসপাতালে তড়িঘড়ি আসতে বলেন। পাশাপাশি বলা হয় তাঁদের মেয়ে হয়তো সুইসাইড করে থাকতে পারেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর তরুণীর বাবা–মা’কে প্রথম যে ফোন করা হয়েছিল–– এই অডিও ক্লিপটি সেই ফোন কলের বলে দাবি করা হচ্ছে।