প্রেসিডেন্সি জেলে শুরু সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট

আরজি কর গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু হল। রবিবার সকাল সকালই পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এর আগে শনিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ ৪ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে।

নয়াদিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল এই পরীক্ষা করাতে এসেছে। এছাড়াও সিএফএসএল-এর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে পলিগ্রাফ। ২টি ডিভাইস রয়েছে এসসিবি-র হাতে।

গত ৮ অগস্ট আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের নাইট শিফট ছিল। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ট্রেনি ডাক্তারকে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।


গ্রেফতারির কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার পর সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। দিন কয়েক আগে অবশ্য তার বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপরই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে।

এদিকে শনিবারই আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। আর রবিবার থেকেই তেড়েফুঁড়ে মাঠে নামল তারা। এদিন সকাল থেকে এক সঙ্গে শহরের ১৫টি জায়গায় হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে যান।

বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি শুরু করে সিবিআই। ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের ডাকাডাকি শুরু হলেও কেউ দরজা খোলেননি। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ৮টা নাগাদ বাড়ির দরজা খুলে দেন স্বয়ং। অবশ্য বাড়ির বাইরে সিবিআইইয়ের আধিকারিক আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখে কিছুটা হতচকিয়ে যান তিনি।

শুধু সন্দীপ ঘোষই নয়, রবিবার সকাল আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ ও আরেক চিকিৎসক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। হাওড়ার বাসিন্দা বিপ্লব সিংহ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করেন।