৬০০০ পুলিশকর্মী, ড্রোনে নজরদারি, নবান্ন অভিযান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ায় কড়া নিরাপত্তা। কলকাতায় মোতায়েন ৬০০০ এর বেশি পুলিশকর্মী। এই নবান্ন অভিযান ঘিরে কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। পুলিশের পোশাকে গুলি চালানোর ছক কষা হচ্ছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, রাজ্য সরকার ভয় পাচ্ছে।

কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশ নবান্নের আশেপাশের এলাকাগুলিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে। ১৯টি জায়গায় ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে। ৫টি জায়গায় অ্যালুমিনিয়াম ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। পুলিশ ছাড়াও কমব্যাট ফোর্স, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস), র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ), কুইক রিঅ্যাকশন টিম (কিউআরটি) এবং জলকামান মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চলবে।

পুলিশের তরফে এখনও অভিযানের অনুমত দেওয়া হয়নি। অনুমতি না পেলেও অনেক সংগঠন ও শিক্ষার্থী ছাড়াও সরকারি কর্মচারীরাও বিক্ষোভে অংশ নেবেন। হাওড়া ময়দান থেকে নবান্ন অভিমুখে মিছিল করবেন সরকারি কর্মীরা। ছাত্ররা সাঁতরাগাছি থেকে নবান্নের দিকে মিছিল করবে। বিজেপি, এসইউসিআই, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি কোনও ব্যানার ছাড়াই এই সমাবেশে অংশ নেবে।


কলেজ স্ট্রিট থেকে নবান্ন পর্যন্ত র‍্যালি হবে। আরেকটি র‍্যালি হেস্টিংস থেকে শুরু হবে যা হুগলি নদী পেরিয়ে নবান্নে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। রাজ্য পুলিশের ডিজি সন্দেহ করছেন, আজকের বিক্ষোভ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য একটি পরিকল্পিত চেষ্টা।

এই সমাবেশ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সবাই এক। বিজেপি নবান্ন অভিযানের প্রচার করছে, কংগ্রেস সমর্থন করছে এবং সিপিএম যাই বলুক, কিন্তু তারা সবাই প্রতিবাদের মঞ্চে যাওয়ার কথা বলছে, রাম-বামরা সবাই মিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য তৈরি করছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে আমি ডাক দিয়েছিলাম, বিচারের দাবিতে মৃত চিকিৎসকের স্মরণে আমরা সবাই প্রদীপ জ্বালাব, আমাদের কর্মীরাও প্রদীপ জ্বালাবেন। মৃত চিকিৎসকের বাড়ি থেকে তাঁর বাবা-মা প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু করেছেন। আমি প্রার্থনা করি তাঁর আত্মার শান্তি হোক এবং তিনি ন্যায়বিচার পান।

একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক আজ সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হবে। কলকাতায় ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর চিকিৎসকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ জমেছে। ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তায় জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।