সুশান্ত-হত্যাচেষ্টার ঘটনায় উদ্ধার আরও বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে কসবা-কাণ্ডে ধৃত লক্ষণ শর্মা ওরফে ছোটুকে জেরা করে। অন্য কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কি না, সেই নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যাবেলায় কসবার বোসপুকুর অঞ্চল থেকে উক্ত আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়। মাত্র আধঘণ্টার অভিযান চালিয়ে পুলিশ মোট একটি ৯ এমএম পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন এবং ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
কসবার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনে স্কুটার আরোহী এক আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে যান। কিন্তু গুলি চলেনি। ফলে প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত। স্কুটারচালক পালিয়ে গেলেও গুলি চালাতে যাওয়া যুবরাজ সিংহকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন সুশান্ত এবং তাঁর সহচরেরা। স্কুটার চালিয়ে এসেছিলেন লক্ষণ ওরফে ছোটুই। তিনিও ধরা পড়েন পরে। এই ঘটনার পিছনের মাথারাও, যথা আফরোজ খান ওরফে গুলজার ওরফে আহমেদ আলি নামক এক ট্যাক্সিচালক, ফুলবাবু এবং আলি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
সুশান্তকে মারবার জন্য ব্যবহার হওয়া একটি পিস্তল পুলিশ আগেই বাজেয়াপ্ত করে। স্কুটারটিও বাজেয়াপ্ত হয়। পুলিশে জেরায় জানা গিয়েছিল, ছোটুর কাছেও অস্ত্র ছিল। সেই অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কসবার এক খালে ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান করা হয়েছিল, তবে কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোই ছোটুর কাছে ছিল বলে পুলিশের অনুমান।