পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। এরপর এই অভিযানে বহু মানুষ আটক হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মুক্ত করতে লালবাজার ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। তাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার ৪ টে নাগাদ লালবাজারের উদ্দেশে রওনা হয় বিজেপির একটি মিছিল। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ এবং প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকে। লালবাজারের অনেক আগেই পুলিশ মিছিল আটকে দিলে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বচসা শুরু হয়ে যায়। এর জেরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ক্রসিংয়ে বসে পড়েন দলের নেতা কর্মীরা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। এরপর পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও পুলিশের বিরুদ্ধে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে এদিন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। এটা অপরাধ। এরা জঘন্য। রণক্ষেত্র কেউ করতে চায়নি। ওরা করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেছি। মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সারাদিন।’