• facebook
  • twitter
Monday, 28 April, 2025

কসবা কাণ্ডে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের

এ বার চাকরিহারারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। একটি মামলা কসবা ডিআই অফিসের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে।

ফাইল চিত্র।

এ বার চাকরিহারারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। একটি মামলা কসবা ডিআই অফিসের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। অপরদিকে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে কসবা থানার পুলিশ। এই দুটি মামলাই কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা হয়েছে।

বুধবার অন্যান্য জেলার মতো স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে কসবার ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। স্কুল পরিদর্শকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু সেই সময় তিনি অফিসে ছিলেন না। পুলিশ প্রথমে বিক্ষোভকারীদের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে কোনও বাধা না মেনে ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের উপর বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় চারজন পুরুষ পুলিশকর্মী ও দুইজন মহিলা পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ হালকা বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশের তরফে এ–ও জানানো হয়েছিল, এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই মতো ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

কসবার ডিআই অফিসের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে লাথি মারার অভিযোগ তুলেছেন চাকরিহারারা। এই ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তবে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সম্পূর্ণ ফুটেজ দেখা দরকার। একতরফা একটি ভিডিও দেখানো হচ্ছে। সেই ছবি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। অন্যদিকে, গোটা ঘটনাটি অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান) প্রকাশ করা হয়। সেখানে এক বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পেট্রল নিয়ে আয়, জ্বালিয়ে দেব।’ সেই ভিডিয়োতে এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কাও মারতে দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের।

চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে সব মহল। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিশের বক্তব্য ছিল আত্মরক্ষার জন্যই বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশকে মারধর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ দিন রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম এসপিদের নির্দেশ দিয়েছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উপর হাত তোলা যাবে না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এই আবহে আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিরোধিতা করেছেন চাকরিহারারা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।