বড়মার নিরঞ্জন-পর্বে উপস্থিত সাংসদ পার্থ এবং সনৎ

নিরঞ্জনের মুহূর্তে বড়ো মা। নিজস্ব চিত্র

সোমবার ভারাক্রান্ত নৈহাটিবাসীর হৃদয়, এদিন বিকালে মহা সাড়ম্বরে ফুলে সুসজ্জিত বড়মা-র প্রতিমা নিরঞ্জিত হলো নৈহাটি ফেরিঘাটে। প্রতিবারের মতো এবারও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল অরবিন্দ রোড-সহ আশপাশের অঞ্চল। এক হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। এই সম্পূর্ণ নিরঞ্জন পর্বে গুরুদায়িত্ব পালন করলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এদিন এলাকাবাসীর উদ্দীপনা এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে শামিল হলেন পার্থ।

পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। বিসর্জন অনুষ্ঠানে একত্রে অংশ নিয়ে সম্পূর্ণ নিরঞ্জন-পর্বের একাধিক দায়িত্ব সামলে নিলেন পার্থ ভৌমিক এবং সনৎ দে। এই উপলক্ষ্যে সাংসদ পার্থ এবং সনৎ উভয়ই উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জনসাধারণের উদ্দেশ্যে সাংসদ বলেন, ‘এই উদযাপন আমাদের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। আজকের দিনে সবাইকে আনন্দ ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে দেখে খুবই ভালো লাগছে।’ সনতের ভাষায়, ‘বাস্তবেই ধর্ম যার যার, বড়মা সবার। নৈহাটির বড়োমা-র নিরঞ্জন পর্বই এর প্রমাণ। বহু দূরদূরান্ত থেকে এদিন নৈহাটিতে মানুষ আসেন কেবল বড়োমা-র দর্শনে। বড়োমা সকলের মঙ্গল করবেন।’

প্রসঙ্গত, নৈহাটির বিধায়ক থাকাকালীন বড়মা-র পুজো থেকে প্রতিমা বিসর্জন– এই সম্পূর্ণ পর্বে নৈহাটিতে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছেন পার্থ ভৌমিক। সে কারণেই বড়মা-র পুজোতে নৈহাটিতে প্রতিবার জনজোয়ার সৃষ্টি হলেও কখনই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সংবাদ শিরোনামে আসতে হয়নি নৈহাটিকে। বড়মা ছাড়াও নৈহাটির অসংখ্য পুজো কমিটি বৃহৎ বাজেটের কালীপুজো করে থাকে। তৎকালীন বিধায়কের তৎপরতায় কালীপুজোয় আলোর রোশনাই-এ ঢাকা নৈহাটিতে বরাবরই শান্তি বিরাজ করেছে। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন পার্থ। তাঁর অনুপস্থিতিতে যে সকল তৃণমূল নেতা-কর্মী নৈহাটিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখার কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সনৎ দে। পার্থ ভৌমিকের দীর্ঘদিনের কার্য থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিস্থিতির সামাল দিতে অভিজ্ঞ হয়েছেন সনৎ। সোমে বড়মা-র বিসর্জন অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গেলো সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-কে।