কলকাতায় ঢুকে পড়তে পারে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। বাংলাদেশ হতে পারে তাদের ‘ট্রানজিট রুট’। এমনটাই আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ফলে পাসপোর্ট যাচাই প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি বাড়তে চলেছে।
পুলিশি সূত্র মোতাবেক জানা গিয়েছে, লালবাজার থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। থানাগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের জন্য আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি, যেমন আধার বা ভোটার কার্ড, বাড়ির ঠিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র সমস্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যে ঠিকানা দিয়েছেন আবেদনকারী, আদৌ তিনি সেখানে থাকেন কি না, তাও দেখতে হবে।
সম্প্রতি ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরির বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সেলিম মাতব্বর কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পার্কস্ট্রিট থেকে। তিনি দিল্লি থেকে জাল নথি-সহ পরিচয়পত্র বানিয়ে রাজস্থানের ঠিকানার পাসপোর্ট তৈরি করিয়েছিলেন। এহেন ঘটনার পরে গোয়েন্দাবাহিনী সদাসতর্ক রয়েছে।
গত আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি হওয়ায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই রীতিমতো সক্রিয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে কলকাতায় ঢুকে রাজ্যে থাকা বিভিন্ন ‘স্লিপার সেল’-কে সক্রিয় করে তুলতে পারে পাকিস্তানি জঙ্গিরা, এমনটাই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। তাই তাঁরা পাসপোর্টের যাচাই প্রক্রিয়াকে আরও আঁটোসাঁটো করে তুলতে চাইছেন।