দিনকয়েক আগে সল্টলেকের ওয়েবেল মোড়ে বাসের ধাক্কায় এক তরুণীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সরকারি বাস পিষে দিল এক স্কুটি আরোহীকে। সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চিংড়িঘাটায়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনা রুখতে কোনও পদক্ষেপই করে না পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর একটা নাগাদ দুই ব্যক্তি স্কুটি করে শান্তিনগর থেকে চিংড়িঘাটা হয়ে গড়িয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ইএম বাইপাস চিংড়িঘাটা রোডে উঠতেই একটি সরকারি বাস স্কুটিটিতে ধাক্কা মারে। স্কুটিটি চালাচ্ছিলেন অরুণ রায় নামে এক ব্যক্তি। তিনি রাস্তার পাশে পড়ে সামান্য আহত হন। স্কুটি আরোহী হরমোহন রাস্তার উপর পড়ে যান। তখনই তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সরকারি ওই বাস।
ঘটনাস্থলেও মৃত্যু হয় হরমোহন নামে ওই ব্যক্তির। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ ও বেলেঘাটা ট্র্যাফিকের একাধিক পুলিশকর্মী। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ওই রাস্তায় যানজট হয়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার দুর্ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বলেন, ‘একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। লোকজনদের সঙ্গে পুলিশকর্মীরা কথা বলছেন। আইন অনুসারে যতটা সম্ভব করার করব।’
চিংড়িঘাটা এলাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থা দেখে কলকাতা পুলিশ। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে বিধাননগর পুলিশ। প্রসঙ্গত, সল্টলেকের ওয়েবেল মোড়ে সাঁতরাগাছি থেকে বারাসত রুটের একটি বাসের ধাক্কায় এক তরুণীর মৃত্যু হয়। ওই তরুণী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ছিলেন। পিছন থেকে বাসটি ধাক্কা মারে তরুণীকে।