এক যুবককে যৌনপল্লীতে নিয়ে গিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ওই যুবককে ভয় দেখিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। মারধরও করা হয়। ধাপে ধাপে মোট ৫৭ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়া হয় অন্য অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে বেরিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতারিত যুবক। উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার আধিকারিকরা তদন্তে নেমে প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সন্তু হালদার। তাঁর অ্যাকাউন্টে মোট ২৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী যুবকের বক্তব্য, তিনি চাঁদনি চকে বৈদ্যুতিন সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তাঁকে ফোন করে বলা হয়, মানিব্যাগ হারিয়ে গিয়েছে। বড়তলা এলাকায় একটি সিনেমাহলের সামনে ডাকা হয় তাঁকে। সেই সিনেমাহলের সামনেই ছিলেন প্রতারকেরা।
ওই যুবক সেখানে পৌঁছতেই ব্যাগ দেওয়ার নাম যৌনপল্লীর একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেই ঘরে আগে থেকেই কয়েকজন মহিলা ছিলেন। তিনি যৌনপল্লীতে গিয়েছেন, তা বাড়িতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয়। এরপরই তাঁকে বলা হয়, অনলাইনে ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট থেকে সব টাকা দিয়ে দিতে। জোর করে কয়েকজন ব্যক্তি ও মহিলা অনলাইনে ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
এরপর যুবককে মারধর করে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। প্রতারিত যুবক বড়তলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ওই যুবকের অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সন্তুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রে বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। সন্তুকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানের চেষ্টা করছে পুলিশ।