হাবড়ায় আট বছর আগে নাবালিকাকে ধর্ষণ। ঘটনায় ৭২ বছরের বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সঙ্গে জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে সাজার মেয়াদ আরও বাড়বে। বৃহস্পতিবার বারাসত পকসো আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ওই বৃদ্ধের নাম অরুণ দাস। এ ব্যাপারে সরকারি আইনজীবী মৃণালকান্তি দাস জানিয়েছেন, দোষীর যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গেই চলবে।
জানা গিয়েছে, হাবড়া থানার পৃথিবা এলাকায় ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটে। তখন ওই নাবালিকার বয়স ছিল মাত্র দশ বছর। সে এখানে একটি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঘটনাটির দিন শিশুটি বাড়িতে একাই ছিল। সেই সময় বালিকাটি প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধের লালসার স্বীকার হয়। সুযোগ বুঝে ওই বৃদ্ধ নাবালিকাকে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠিয়ে পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তার মুখ বন্ধ রাখার জন্যে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেজন্য ভয়ে সে প্রথমে কাউকে কিছু না বললেও দু’দিন পর সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যদের প্রশ্নের মুখে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।
গোটা ঘটনাটি জানার পর ওই নাবালিকা মেয়েটির পরিবার হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতেই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলাটির শুনানি চলে। ১২ জন আত্মীয়, প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযুক্ত অরুণ দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সেই মতো তাঁর সাজা ঘোষণা করা হয়।