আত্মহত্যা নয়, সম্ভবত খুনই করা হয়েছে বেলেঘাটার যুবককে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করল বেলেঘাটা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলেঘাটার কলিমুদ্দিন সরকার স্ট্রিটের একটি ফ্ল্যাট থেকে আঠাশ বছরের রোহন মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকজন দাবি করেন, রোহন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা জানান, বেশ কয়েকমাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রোহন। এর আগে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
রোহনের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও রোহনকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। রোহন নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তবে কে বা কারা তাঁকে খুন করেছেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। রোহনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
বছরখানেক আগে ওই যুবকের বিয়ে হয়েছিল। তবে কিছু সমস্যার জন্য স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। রোহন বেলেঘাটার এই ফ্ল্যাটে বছরখানেক ধরে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রোহনের বাবা দুপুর থেকে তাঁকে বার বার ফোন করেও যোগাযোগ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ এসে দরজা খুলে দেখে, রোহন বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। জিনিসপত্র সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাইরে থেকে কেউ ঢুকে ওই যুবককে খুন করেন। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণে রোহন এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকতেন, এই ঘটনার সঙ্গে ওই তরুণীর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।