নির্বাচনী লড়াইয়ের থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করে জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানো। তাই এবার নির্বাচনী প্রচারে নয়, দানা-মোকাবিলায় দিনরাত মাঠে ময়দানেই থাকছেন নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। বৃহস্পতির বিকেলে একটি ভিডিও-বার্তা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি নৈহাটির আপামর মানুষের পাশে রয়েছি।’ এখানেই শেষ নয়, ভিডিও-বার্তায় সনৎ দে ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরও জানিয়েছেন জনসাধারণকে। ঝড়ের সময় আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন তৃণমূল প্রার্থী, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন নৈহাটিবাসীকে।
এদিন সনৎ বলেন, ‘নৈহাটির ৩১টি ওয়ার্ডের কোনো মানুষের যদি কোনও রকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। আমায় যে কোনও সময় ফোন করতে পারেন। দানা-মোকাবিলায় আমি ৬ নং বিজয়নগরে অবস্থিত জয়দীপ ঘোষ ভবনে উপস্থিত থাকবো। জনসাধারণের যে কোনও সমস্যায় আমি তথা দল তাঁদের পাশে আছি। সমস্যা শোনা মাত্র আমরা তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করব।’
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমার সঙ্গে নৈহাটি পুরসভাও প্রস্তুত রয়েছে, যেকোনও সমস্যায় নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ও থাকবেন।’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতির সারারাত জয়দীপ ঘোষ ভবনেই উপস্থিত থেকে নৈহাটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন সনৎ দে, ছুটে গিয়েছেন মানুষের বিপদে-আপদে।
প্রসঙ্গত, এবার ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র অভিঘাত সামলাতে সংগঠনকে প্রস্তুত রেখেছে তৃণমূল। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সাংগঠনিক ভাবে নির্দেশিকা পৌঁছে দিয়ে দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে দলের তরফ থেকে। সেই মতো দলীয় নির্দেশ পালন করতে বদ্ধপরিকর সনৎ দে। আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচার বন্ধ রেখে তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে কামনা করি, ঘূর্ণিঝড় দানায় আমার গোটা দেশ, রাজ্য এবং নৈহাটির মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকেন। তাঁরা যেন কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন।’ উল্লেখ্য, সনতের তৎপরতার সঙ্গে পরিচিত নৈহাটিবাসী। করোনা অতিমারী থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলা, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মাঠে-ময়দানে নেমে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।