• facebook
  • twitter
Monday, 7 April, 2025

মুকুন্দপুরে বৃদ্ধ দম্পতির রহস্যমৃত্যু

শহরে একের পর এক রহস্যমৃত্যু! পূর্ব যাদবপুরের মুকুন্দপুরে একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বৃদ্ধ দম্পত্তির ঝুলন্ত দেহ।

প্রতীকী ছবি

শহরে একের পর এক রহস্যমৃত্যু! পূর্ব যাদবপুরের মুকুন্দপুরে একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বৃদ্ধ দম্পত্তির ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। যাদবপুর থানার পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু? আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে পুলিশ। যদিও দম্পতির বিবাহিত মেয়ের অভিযোগের তীর সরাসরি দাদা এবং বৌদির দিকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুন্দপুরে ছেলে ও বৌমার সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি দুলাল পাল (৬৬) এবং রেখা পাল (৫৪)। মঙ্গলবার রাতে ডাইনিং রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দুলাল পালের ঝুলন্ত দেহ এবং শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় রেখা পালের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা মনে হলেও দম্পতির মেয়ের দাবি, দাদা ও বৌদিই খুন করেছে বাবা-মাকে। জানা গিয়েছে, প্রায়ই ছেলে সৌরভ পাল ও বৌমা কল্যাণী পালের সঙ্গে ওই দম্পতির অশান্তি হত। দম্পতির উপর চলত অকথ্য অত্যাচার। তাঁদের রীতিমতো মারধর করা হত। প্রতিবেশীরাও এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, মঙ্গলবার সকালেও ছেলে ও বৌমার সঙ্গে তাঁদের অশান্তি হয়েছিল। এরপরই তাঁরা কাজে বেরিয়ে যান। সারাদিন বাড়িতে একাই ছিলেন ওই দম্পতি। সন্ধ্যের দিকেও তাঁদের কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়া গেলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তবে ঘটনার সময় বাড়িতে ছেলে ও বৌমা ছিলেন না। পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর নেপথ্যে ছেলে-বৌমার হাত থাকতে। তাঁরা খুনও করতে পারেন অথবা বৃদ্ধ বাবা-মাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিতে পারেন। পুলিশ সুইসাইড নোটটি খতিয়ে দেখছে। এর উপর ভিত্তি করেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে মনে করা হচ্ছে।