কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়। গত মঙ্গলবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালের দিন রেড রোডে ডিউটি ছিল তপোব্রত’র। সেইদিন মেডিক্যাল পরিষেবা দিতে কলকাতা পুরসভার যে দল রেড রোডে গিয়েছিল তপোব্রত সেই দলেরই সদস্য ছিলেন। ওই দিন ডিউটির সময় তিনি অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে ব্যাজ পরেছিলেন। তা দেখেই ময়দান থানার পুলিশ তপোব্রতকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসক। ২২ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হবে।
গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তপোব্রতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। পুলিশকে সময়সীমা বেধে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পড়েও পুলিশের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। এই কারণে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের গেলেন তপোব্রত রায়। পাশাপাশি প্রতীকী অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ দুঃখপ্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপ নেননি বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার পুরসভায় স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসকরা জানান, তপোব্রতকে গ্রেপ্তার করার কারণ কলকাতা পুলিশ জানাতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে পুলিশ ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ। তপোব্রত অন ডিউটি অবস্থায় থাকায় এক্ষেত্রে পুরসভাকেই আইনি সহায়তা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকরা ডিউটির সময় ‘আমরা সবাই প্রতিবাদী’ ব্যাজ পরে থাকবেন। সেই মতো এই ব্যাজ পরেই ডিউটি করেন পুরসভার চিকিৎসকরা। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের যে অফিসিয়াল পেজ রয়েছে সেখানে তপোব্রতকে গ্রেপ্তারির ঘটনার নিন্দা জানাতে হবে। যদিও পুরসভার তরফ থেকে তপোব্রতর গ্রেপ্তারির নিন্দা জানানো হয়নি। এ নিয়েও ক্ষুব্ধ পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ।