ভোটার তালিকার বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধন কর্মসূচি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলায় জেলায় ভোটার তালিকায় সংযোজন-বিয়োজনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যের গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন বিধায়ক থেকে ব্লক সভাপতিরা। এবার শেষ মুহূর্তে নিজ সংসদীয় কেন্দ্রের ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যে তদারকিতে নামলেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, টাউন সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতিকে যথাযথ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ। পরামর্শের সুরে কাকলি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘৭ এবং ৮ ডিসেম্বর ভোটার লিস্ট সংশোধন কার্যক্রমের শেষ দুই স্পেশাল ক্যাম্পেইনের দিন। এই দু’দিন বিধায়ক থেকে অঞ্চল সভাপতিকে বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে প্রত্যেক বুথে বিএলও’দের সঙ্গে বসে আমাদের বুথ এজেন্ট এবং অন্যান্য কর্মীরা সামগ্রিক ভাবে ভোটার লিস্ট সংশোধন কার্য সম্পন্ন করেন।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘গত একমাস ধরে চলা বুথ ভিত্তিক এই সংশোধন কার্যের একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যেক বুথ বা পার্ট নম্বরে কত নতুন ভোটার আবেদন করলেন এবং কত নাম বাদ দেওয়ার আবেদন হলো, এই তথ্য বিএলও’দের থেকে সংগ্রহ করে বিধানসভা অনুযায়ী রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।’ অবশেষে এই রিপোর্ট সাংসদ কাকলিকে জমা দিতে হবে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে ২০২৫-এর জানুয়ারি মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে পুনরায় মিলিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন সাংসদ। কাকলির তরফে এই লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়ক থেকে ব্লক সভাপতি প্রত্যেককেই।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পরই তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল-সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অরূপ বিশ্বাসের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, বিধায়ক বা দলের অন্যান্য পদাধিকারীরা নিজ এলাকায় বুথ ভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন। প্রত্যেক বুথে ওই বুথের-ই খসড়া ভোটার তালিকা পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে ভোটার লিস্ট সংশোধন কার্য চলবে। ১৮ বা তার বেশি বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার শেষ মুহূর্তে নিজ সংসদীয় কেন্দ্রের ভোটার লিস্ট সংশোধন কার্যের তদারকিতে নামলেন সাংসদ কাকলি খোদ।