বৃহস্পতিবারই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হবে গঙ্গাসাগর সাফাই অভিযান। সাফ করা হবে সমুদ্রতট। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, আর এবার সব রেকর্ড ছাপিয়ে পুণ্যার্থীর সংখ্যাও ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মেলা কর্মসূচি সফল হয়েছে। গঙ্গাসাগরে রেকর্ড ভিড় হবে বলে আগে থেকেই দাবি করেছিল রাজ্য সরকার। এই ক’দিনে ভক্ত সমাগম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে বুধবারই সংখ্যাটা ১ কোটি ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশা করা হয়েছিল। অরূপ বিশ্বাস জানান, সেই সংখ্যা পার হয়েছে। বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ কোটি ১০ লক্ষ পুণ্যার্থী এবার পূণ্যস্নান করে গেছেন গঙ্গাসাগরে। তবে এত ভিড়ের মধ্যেও ভক্তদের সুরক্ষায় কড়া নজর রেখেছিল সরকার। কারও কোনও সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এই কদিনে ৯ জন পুণ্যার্থীকে এয়ারলিফট করে কলকাতায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বাকিরা হরিয়ানা এবং ছত্তীসগড়ের। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের সহায়তায় ১৪২টি সমাজসেবী সংগঠনের ১০ হাজারের বেশি সমাজসেবক দিনরাত কাজ করেছেন। এছাড়া ‘ই-পরিচয়’, ‘ই-অনুসন্ধান’, ‘বন্ধন’ সহ একাধিক প্রকল্প থেকেও গঙ্গাসাগরে আগত পুণ্যার্থীরা অনেক সুবিধা পেয়েছেন। কর্মসূচির সাফল্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি এও বলেন, তাঁর নজরদারী এবং নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি কাজ করেছে। তাই এত সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদভাবে মেলা পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে।