ছটপুজোতে পুণ্যার্থীরা যাতে কলকাতা পুর এলাকায় সুষ্ঠু ভাবে পুজো সম্পন্ন করতে পারেন, সে জন্য বুধবার কলকাতা পুরভবনে বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে কলকাতা শহরের অধিকাংশ ঘাট জলের তলায় রয়েছে। ফলে ঘাটের সিঁড়িগুলিতে শ্যাওলা জমে তা পিচ্ছিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যখন তখন ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তাই পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে, সেই ঘাটগুলিতে ইতিমধ্যেই জল অপসারণের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকের শেষে ফিরহাদ হাকিম জানান, কেএমডিএ – এর তরফে ছটপুজোর জন্যে ১৮টি অস্থায়ী ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ২২টি স্থায়ী ঘাট থাকছে। মোট ৪০টি ঘাট ছটপুজোর জন্য প্রস্তুত রাখছে কলকাতা পুরসভা। তক্তা ঘাটে নিয়ে ইতিমধ্যেই নেভির সঙ্গে আলোচনা সেরেছে পুরসভা। নেভির সহায়তা নিয়ে কাজ হবে ঘাটে। এছাড়া দই ঘাটেও বিশেষ ব্যবস্থাপনা রেখেছে পুরসভা। নিমতলা ঘাটের কিছু অংশ গঙ্গা ভাঙনের ফলে বসে গিয়েছে। সেখানে পুলিশকে ব্যারিকেড করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিটি ঘাটে মহিলাদের পোশাক বদলের জন্যে নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শৌচালয়ের ব্যবস্থাও যথাযথ রাখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আলোর ব্যবস্থাপনাতেও বিশেষ নজর রাখা হবে। এদিন মেয়র বলেন, ‘ছটপুজোয় অনেক পুণ্যার্থীরা দণ্ডী কাটেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ডিজি রোডকে ঘাট সংলগ্ন রাস্তাগুলির পিচ ঠিক রাখার কথা বলা হয়েছে।’ ছটপুজোয় রবীন্দ্র সরোবর এবারও বন্ধ থাকছে। তবে পুরসভার তরফে ৬টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরী থাকছে। পুণ্যার্থীদের সহায়তায় পুরসভা সদা সচেষ্ট রয়েছে বলে বার্তা কলকাতার মহানাগরিকের।