কলকাতার হকার সমস্যা নিয়ে ফের মুখ খুললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার এক নাগরিকের অভিযোগের ভিত্তিতে হকারদের অবস্থান এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি শুধুমাত্র সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু হকারদের মধ্যে সেই কমিটির বিশেষ কোনও মান্যতা নেই। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ তিনি আরও জানান, হকার ইউনিয়নের নেতাদের কথাও এখন অনেক হকার শুনছেন না। প্রয়োজনে অন্য ইউনিয়নে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। যাঁরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের সঙ্গে না থেকে, বরং যাঁরা সমস্যা তৈরি করছেন, হকারদের একাংশ তাঁদের দিকেই ঝুঁকছেন।
নিউমার্কেট এলাকার হকারদের প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘সেখানে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে মানুষ মার্কেটের ভেতরে ঢুকতেই পারছিলেন না। পুলিশ সরিয়ে দিয়েছিল হকারদের। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও তারা বসে গেছে। এমন কোনও নেতা নেই যার কথা সব হকার শুনবেন।’
তিনি জানান, টাউন ভেন্ডিং কমিটির অনেক সদস্যের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে পুলিশের নজরদারির প্রয়োজন। যদিও মেয়রের স্বীকারোক্তি, ‘আমার হাতে নির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবে অনেক সময়েই শোনা যায় যে পুলিশের সঙ্গে কিছু হকারদের সমঝোতা হয়।’
এদিন ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুবীর দাস মেয়রের কাছে একটি অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, তাঁর সম্পত্তিতে হকার বসছে। পুলিশকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘নতুন করে কেউ বসলে সরানো সম্ভব। কিন্তু কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে বসে থাকে, তাহলে তাকে সরানো মানে তাঁর রুজিরুটির ওপর আঘাত। পুলিশ বেআইনিভাবে কাউকে বসতে দেবে না, এটাই নিয়ম। কিন্তু আমাদের হাতে পুলিশ নেই, তাদের কাজই হল বেআইনি হকারদের সরানো। পুরসভার এক্তিয়ারে এটা পড়ে না।’
তিনি আরও বলেন, পুরসভা কাউকে লাইসেন্স দিলে, তা বৈধ। কিন্তু লাইসেন্স ছাড়া কেউ বসে থাকলে, তা উঠিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের।