• facebook
  • twitter
Monday, 14 April, 2025

হোয়াট্‌সঅ্যাপে ছবি, নাম পাল্টে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণা

গ্রেপ্তার ৬

প্রতীকী চিত্র

হোয়াট্‌সঅ্যাপে ছবি ও নাম বদলে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণা। ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিনজনকে কলকাতা থেকে এবং বাকি তিনজনকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কলকাতায় হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।

জানা যায়, অভিযুক্তরা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের এক দল তাঁদের ধরতে মহারাষ্ট্রে যায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ২৮ বছরের ওয়াকাব মহম্মদ জাভেদ চান্ডিওয়ালা, ৩৬ বছরের রিয়াজ় রাজ়ি সইদ এবং ৩২ বছরের সচিন মনোহর প্রসাদকে। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, দু’টি ব্যাগ এবং পাঁচটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

এর পর কলকাতায় অভিযান চালিয়ে বাকি অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়েছে। ফুলবাগান থেকে ধরা হয় ৩৬ বছরের পবন সাউ। এ ছাড়া হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে ৩৯ বছরের মহেন্দ্র পাল সিংহ এবং ৪০ বছরের চেতন সিংহ দাহিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা দু’জনেই রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের কাছে প্রতারণার টাকা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাদের কাছ থেকে ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৪০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে কিছু মোবাইল, আধার কার্ড, চেক বই এবং টাকা গোনার মেশিন।

প্রসঙ্গত গত ৪ মার্চ অঙ্কিত ভাঁটিয়া নামের এক যুবক পার্ক স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর বাবার কাছ থেকে কৌশলে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতারণা করা সম্ভব হয়েছে? এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হোয়াট্‌সঅ্যাপ নম্বরের নাম এবং ছবি বদল করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে একটি জনপ্রিয় প্লাইউড তৈরির কারখানার ছবি দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার মালিকের নামে ফোন করা হয়েছিল আরকে আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তিকে। তাঁর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়। এরপর আগরওয়াল ফোন করেন অঙ্কিতের বাবা বিজয়কুমার ভাঁটিয়াকে। ওই প্লাইউড সংস্থার মালিকের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দিতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধে টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা বুঝতে পারেন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রথমেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। এরপর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রতারকদের চিহ্নিত করা হয়।