ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে ‘না’ লালবাজারের

৫৯ দিন অতিক্রান্ত। এখনও আরজি করের পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার মেলেনি। দাবি পূরণ হয়নি জুনিয়র ডাক্তারদেরও। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও শুক্রবার রাত থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সেই অবস্থানেও এবার ‘না’ পুলিশের। শুক্রবার রাতেই ধর্মতলায় অবস্থান কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে ইমেল করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার সেই ইমেলেরই উত্তর দিল লালবাজার। অবস্থান কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া যাবে না। সাফ জানাল কলকাতা পুলিশ।

অনুমতি না দেওয়ার পিছনে পুলিশের যুক্তি, পুজোর আগে থেকে শুরু করে পুজোর সময় পর্যন্ত এমনিতেই ধর্মতলা এলাকায় ব্যাপক ভিড় থাকে। তাই এই সময় সেখানে ডাক্তারদের অবস্থান চললে সাধারণ মানুষ সমস্যা পড়বে। এমনকি যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হবে বলে দাবি পুলিশের। পুজোয় যানজট নিয়ন্ত্রণে এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি রুখতেই ডাক্তারদের কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে লালবাজার।

লালবাজার থেকে ডাক্তারদের পাঠানো ইমেলে স্পষ্ট উল্লেখ, ‘শুক্রবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ধর্মতলায় ধরনা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। ট্রাফিকের দিকটি বিবেচনা করেই সেই আবেদনে সাড়া দেওয়া যাচ্ছে না। এই কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হতে পারে, যানজট তৈরি হতে পারে। পুজোর মুখে ধর্মতলায় প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে যান। পুজোর প্রস্তুতি পর্বে প্রতি দিনই খুব ভিড় হচ্ছে। পাশাপাশি মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই পুজোর আগে এই কর্মসূচিতে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।’


প্রসঙ্গত, শুক্রবার এসএসকেএম থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় এসে পৌঁছন জুনিয়র ডাক্তাররা। সন্ধে ৭টা থেকে ধর্মতলার রাস্তায় বসে চলে ডাক্তারদের বিক্ষোভ। বৃষ্টি মাথায় করেই অবস্থান চালিয়ে যান তাঁরা। একটা সময় পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অভিযোগ তোলেন, মেট্রো চ্যানেলে তাঁদের কয়েকদন সহকর্মীকে টানাহিঁচড়ে করা হয়েছে।

এমনকি এক ইন্টার্নের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগও তোলেন তাঁরা। তাঁরা প্রতীকী ঘড়ি হাতে নিয়ে সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। দাবি পূরণ না হলে এর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জুনিয়ক চিকিৎসকেরা। কিন্তু পুজোর মুখে ধর্মতলায় ডাক্তারদের কর্মসূচি চলতে পারে না। এ কথা স্পষ্ট করল লালবাজার। এই আবহে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? নজর সেদিকে।