‘দানা’র ঝাপটা এড়াতে তৈরি লালবাজার

গত মে মাসের শেষ দিকে ঘণ্টায় প্রায় ১২৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আর তার পাঁচ মাসের মাথায় ফের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘দানা’। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে আজ বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যে আছড়ে পড়বে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যভাগে। তবে কলকাতায় এই ঝড়ের তান্ডব নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আবহবিদেরা। কিন্তু ‘দানা’র দুর্বিপাক থেকে শহরকে সামলে রাখতে উদ্যোগী লালবাজার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালেই লালাবাজরে ‘দানা’ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। দুর্যোগ মোকাবিলায় ঠিক কী কী করতে হবে, এদিনের বৈঠকে নির্দেশ হওয়া হয় তারও।
সূত্রের খবর, বর্তমানে শহরে মোট কত বিপদজনক বাড়ি রয়েছে এবং সেখানে কত পরিবার বসবাস করে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। একই সঙ্গে প্রয়োজনে বিপদজনক বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে শহরে কার্যত মাকড়সার জালের মতো বিছিয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তারের জাল। অনেক সময়ই বৃষ্টিভেজা সেই তারে ঘটে দুর্ঘটনা। তাই শহরে খোলা তার নজরে এলেই তা সঙ্গে সঙ্গে  সিইএসসিকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। অন্যদিকে নির্মীয়মাণ বহুতল কিংবা মেট্রোর কাজের জন্য ব্যবহৃত বড় ক্রেনগুলিকে খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শহরের বিজ্ঞাপনী হোডিং খুলে ফেলারও। প্রসঙ্গত, ঝড়ের কারণে গাছের ডাল ভেঙে তা পার্কিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির উপরে এসে পড়ে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় গাড়ি। সেক্ষেত্রে শহরের সমস্ত ট্রাফিকগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গাছের নিচে গাড়ি পার্কিং না করার জন্য। পাশাপাশি, ওসি কন্ট্রোল রুমকে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথাও বলা হয়েছে বৈঠকে।