গতকাল , ষষ্ঠীর রাতে ৫ দিন পর অনশনরত এবং আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য মুখ্যসচিবের দপ্তর থেকে মেল যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে। ৮-১০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকের জন্য উপস্থিত হওয়ার আর্জি জানানো হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। তবে তারা ১২ জনের দল নিয়ে উপস্থিত হন স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকের জন্য। অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল মহাষষ্ঠীর রাতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ‘ স্লোগান তুলে লালবাজারের অদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে অবস্থানে বসেন। গতকাল পেরিয়ে গিয়ে আজ , মহাসপ্তমীর সকালে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে অবস্থানরত জুনিয় চিকিৎসকেরা।
কেন লালবাজারে উদ্দেশ্যে গতকাল রাতে রওনা দেন জুনিয়র চিকিৎসকের দল?
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং সদ্য কুলতলীতে ঘটে যাওয়া নাবালিকাকে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল সিদ্ধান্ত নেন তারা বিভিন্ন পুজো মন্ডপে গিয়ে তুলবেন ‘ বিচার চাই ‘ স্লোগান । সেইমতো তারা উপস্থিত হন পুজো মন্ডপে। এবং ‘ বিচার চাই ‘ স্লোগান দেওয়ার জন্য লালবাজারের পক্ষ থেকে আটক করা হয় ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসককে। তাদের অবিলম্বে ছাড়তে হবে, এই দাবি তুলেই মহাষষ্ঠীর রাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল লালবাজারে উদ্দেশ্যে অভিযানে নামেন। তাঁরা পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন যতক্ষণ না ওই ন ‘ জন চিকিৎসককে ছাড়া হবে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মহা সপ্তমীর সকালে, অন্য রূপ দেখা যায় তিলোত্তমায়। বুধবার রাতে যেমন গার্ড রেল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা ঠিক তেমন ভাবেই বৃহস্পতিবার সকালে গার্ড রেল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় লালবাজারের অদূরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এলাকা। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়ন করা হয়েছে। দুর্গের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা।