যাদবপুরে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে দুই গ্রাহক। এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা। খাস কলকাতায় এটিএম জালিয়াতিকাণ্ডে উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কাছের এক এটিএমে।
কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কাছে ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র (এসবিআই) এটিএম রয়েছে। অরূপজ্যোতি প্রধান নামে প্রতারিত গ্রাহকের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। কার্ড পাঞ্চ করতেই সেটি মেশিনের মধ্যে লক হয়ে যায়। এরপর তিনি এটিএম কাউন্টারের মধ্যে লেখা থাকা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। ওই হেল্পলাইন নম্বর থেকে বলা হয়, পিন নম্বর দিয়ে ক্যানসেল বোতাম টিপতে।
হেল্পলাইন নম্বর থেকে যা বলা হয়, সেটাই অনুসরণ করেন তিনি। অভিযোগ, পিন দেওয়ামাত্রই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সাইবার ক্রাইম বিভাগে এবং স্থানীয় সার্ভে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অরূপজ্যোতি প্রধান। শুক্রবার রাতে আরও একজন গ্রাহকের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তাঁর ৩৫ হাজার টাকা খোওয়া গিয়েছে।
অরূপজ্যোতি বলেন, এসবিআইয়ের এই এটিএম কাউন্টার থেকে আগেও অনেকে প্রতারিত হয়েছেন বলে শুনেছিলাম। এবার আমার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটল। ভিতরে কাস্টমার হেল্প লাইনের যে নম্বর ছিল, সেখানে সাহায্য চাইতে গিয়ে উল্টে প্রতারিত হলাম। এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রতারকরা এটিএমে আগে থেকে কোনও ডিভাইস লাগিয়ে রেখেছিল। সেই কারনেই কার্ড আটকে যায়। কার্ডের তথ্য চলে যায় প্রতারকদের সার্ভারে। বোতামের জায়গায় লাগানো ছোট ক্যামেরার সাহায্যে পিন নম্বরও জানতে পেরে যায় তারা। এটিএমের গায়ে লাগানো টোল ফ্রি ফোন নম্বরও প্রতারকদের। সেখানে ফোন করলে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হয়। কথার ফাঁকে প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।