• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

বিনা চিকিৎসায় আরজি করে যুবক মৃত্যুর ঘটনায় ‘পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চালু রাখা’র আর্জি কুনালের

দোষীদের কঠোরতম সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের মতো যাঁরা গরিব মানুষ, তাঁদের তো সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তাহলে কি এভাবে বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে?

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ভগবান না করুন কোনও পুলিশের পরিবার ডাক্তারদের সামনে শিরদাঁড়া নিয়ে না দাঁড়ান। গরিব মানুষের কথা ভেবে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি বন্ধ করার আহ্বান জানান কুণাল। পাশাপাশি তাঁদের রিলে পদ্ধতিতে কর্মবিরতি পালনের অনুরোধ করেন।

বাইক দুর্ঘটনায় কোন্নগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্য আহত হয়েছিলেন। প্রথমে তাঁকে শ্রীরামপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসকরা। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিক্রমকে আরজি কর হাসপাতালে আনা হয়। তারপর ৩ ঘণ্টা তিনি বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল থেকে তাঁদের জানানো হয়, চিকিৎসক নেই, তাই পরিষেবা দেওয়া যাবে না। অভিযোগ, রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের তরফে জানানো হয় বেসরকারি হাসপাতালের খরচ জোগানোর সামর্থ তাঁদের নেই।  এরপর প্রায় ৩ ঘণ্টা পড়ে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন বিক্রম।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ভূমিকা ও কর্মবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ভগবান না করুন পুলিশের পরিবারের কেউ শিরদাঁড়া নিয়ে গিয়ে ডাক্তারবাবুদের সামনে দাঁড়ান। আর বলেন এই হাসপাতালে এত বেশি বিল করবেন না, অহেতুক পেসমেকার বসাবেন না। যদি শিরদাঁড়া উপহার দিয়ে বলেন, অকারণে ওমুক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করাতে বলবেন না। আসলে সকলকে নিয়ে সমাজে চলতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে আসার পর যদি এইভাবে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগী পড়ে থাকেন, কারণ কয়েকজন ডাক্তারবাবু কর্মবিরতি পালন করছেন, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে লালবাজারে গিয়ে শিরদাঁড়া হাতে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনিয়ে পাল্টা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চাপ তৈরি করলেন কুণাল ঘোষ।