কসবা কাণ্ডে সুশান্তকে খুনের চেষ্টার নেপথ্যে থাকা বিহারের গাংটির গুরুত্বপূর্ণ চক্রী এবং সদস্য ফুলবাবু। এই ফুলবাবুকেই কাউন্সিলর সুশান্তকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার বিহারের সমস্তিপুরের আধারপুর চাকনিজম গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, কসবাকাণ্ডে ধৃত ব্যক্তিদের জেরা করে ফুল বাবুর নাম সামনে এসেছে। শনিবার ফুলবাবুকে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। শনিবার আদালতে সুশান্তর আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্তে জানা গিয়েছে, সুশান্তর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত যুবরাজকে পাঠিয়েছিল এই ফুলবাবুই। তিনি সুশান্তকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী। নিজে লোক চক্ষুর আড়ালে থেকে তিনিই সুশান্তকে খুনের সব ছক কষে ছিলেন বলে দাবি সুশান্তের আইনজীবী। এছাড়াও অভিযোগ এই ঘটনায় বিহার থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদেরও একত্রিত করার দায়িত্ব ছিল ফুলবাবর। অন্যদিকে আদালতে পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে ফুলবাবুই সুশান্তকে খুনের চেষ্টাতে থাকা গ্যাংটির গুরুত্বপূর্ণ চক্রী এবং সদস্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দলের অন্য সদস্যদের খোঁজে শীঘ্রই ফের বিহার যাবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনেই কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে এক দুষ্কৃতী। কিন্তু বন্দুক থেকে গুলি বের না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান সুশান্ত। পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান যুবরাজ সিং নামের ওই দুষ্কৃতি। তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় গুলজার এবং আহমেদ আলী নামে এক ট্যাক্সিচালককে। এই ঘটনায় খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল এবং স্কুটারও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জেরা করেই ফুলবাবুর নাম জানতে পারে পুলিশ। সুশান্তকে খুনের চেষ্টার পরিকল্পনায় ফুলবাবুর যোগ আছে বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে আনন্দপুরের গুলশান কলোনিতে থাকতে শুরু করেছিল ফুলবাবু। আর ফুলবাবু এই ঘটনার সঙ্গে কিভাবে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন গুলজার, আহমেদ, যুবরাজ, ফুলবাবু ছাড়াও সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনার ঘটনায় আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে। তাদেরই খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।