হেরিটেজ বাড়ি ঘোষণার পদ্ধতিকে ঘিরে বিতর্কের অবসান চেয়ে এবার নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনে। কলকাতা পুরসভার তরফে পাঠানো হয়েছে এই প্রস্তাব। শুক্রবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাম আমলে অনেক বাড়িকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে বিনা যাচাইয়ে। এমনও দেখা গিয়েছে, কোনও বাড়িতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত একবার চা খেতে গিয়েছিলেন, সেটাও হেরিটেজ বাড়ি ঘোষণা করা হয়েছে। এমন অনিয়ম আর চলতে দেওয়া যাবে না।’
মেয়র আরও জানান, হেরিটেজ বাড়ি ঘোষণা করতে হলে সেটির নির্মাণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, স্থাপত্যের বিশেষত্ব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা দরকার। এই প্রক্রিয়াকে আরও বৈজ্ঞানিক পদ্ধিতিটি সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তাব তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষা।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হেরিটেজ বাড়ি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে এবং সেইমতো গ্রেডেশন সিস্টেম সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিটি বাড়ির ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তা গ্রেডে ভাগ করা হবে। এতে স্পষ্ট হবে, কোন বাড়ি কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে এবং তার গুরুত্ব কতটা। ফিরহাদ বলেন, ‘আমরা চাই, হেরিটেজ বাড়ি ঘোষণার প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও সঠিক পদ্ধতিতে হোক। এমনকী একবার কোনও বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হলে, তার দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ও দিকনির্দেশনা থাকা উচিত।’
এখন দেখার বিষয়, পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন এই প্রস্তাবকে কীভাবে গ্রহণ করে এবং রাজ্যের হেরিটেজ বাড়ি সংরক্ষণে নতুন দিশা তৈরি হয় কি না।