ঘরের শুকনো কাগজ, প্লাস্টিকের মোড়া, বা ভেজা সবজির খোসা, একসাথে দিলে এরা সত্যিই অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু আলাদা করলেই খুলে যেতে পারে এক নতুন দিগন্ত। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরবাসীকে সম্প্রতি এই সহজ অথচ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘শুকনো আর ভেজা বর্জ্য যদি আলাদা করে পুরসভার হাতে তুলে দেন, তাহলে এগুলো থেকেই তৈরি হবে নানান নতুন সামগ্রী। বর্জ্য আর ফেলনা থাকবে না, হয়ে উঠবে সম্পদ।’
কলকাতা পুরসভা এখন বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে আরও বড় স্বপ্ন দেখছে। পাথুরিয়াঘাটা এলাকায় নির্মাণবর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট ইতিমধ্যেই কাজ করছে। তার পাশাপাশি থার্মোকলজাত দ্রব্যের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন একটি আধুনিক প্ল্যান্টও। যার এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানান, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেই নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। ধাপায় পাঠিয়ে সেগুলোর প্রক্রিয়াকরণ হয়। তিনি আরও বলেন, শুকনো বর্জ্য থেকে প্লাস্টিক প্যালেট, সিএনজি তৈরির মতো কাজ হয়, আর ভেজা বর্জ্য দিয়ে তৈরি হয় জৈব সার। তবে নাগরিকদের সচেতনতা এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় আসেনি।
‘আমরা নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছি,’ জানালেন মেয়র পারিষদ। ‘শুধু পুরসভা নয়, ক্লাব, এনজিওদেরও এগিয়ে এসে নাগরিকদের সচেতন করা উচিত।’ পুরসভার বার্তা স্পষ্ট, একসাথে ফেলা নয়, আলাদা করে দিন। কারণ সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বর্জ্য আলাদা করলেই, এই শহর আরও পরিচ্ছন্ন, সবুজ আর টেকসই হয়ে উঠবে।