অনলাইনে হোটেল বুক করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন কলকাতার ডাক্তার। সার্ভে পার্ক থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এসএসকেএমের প্রাক্তন চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষ সরকারি অতিথিশালা পান্থনিবাসে রুম ভাড়া করার জন্য অনলাইনে সার্চ করেন। ওড়িশা সরকারের ওটিডিসির পান্থনিবাসের নামে একটি ওয়েবসাইট আসে সবার উপরে। যদিও সেই ওয়েবসাইটটি ছিল ভুয়ো। কিন্তু সঞ্জয়বাবু সেটি বুঝতে পারেননি।
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ওয়েবসাইটে ‘বুক নাও’ নামের কি ওয়ার্ডে প্রেস করলে একটি নম্বর ভেসে ওঠে। সেই নম্বরে ফোন করেন সঞ্জয় ঘোষ। ফোন ধরে অপর প্রান্তের ব্যক্তি জানান, তিনি পান্থনিবাসের ম্যানেজার চন্দ্রকান্ত দাস। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমে পান্থনিবাসের কয়েকটি ছবি পাঠানো হয় ওই চিকিৎসককে। এরপর দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট নম্বর। সরল বিশ্বাসে সেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন সঞ্জয়বাবু। এরপরই বুকিং স্লিপ চাইতেই প্রতারণার পর্দাফাঁস হয়।
সঞ্জয়বাবুকে যে বুকিং স্লিপ পাঠানো হয়, তাতে লেখা ছিল ‘বুকিং নট অ্যাপ্রুভড’। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। ওটিডিসি-র মার্কেটিং হেড রঞ্জন মিশ্র গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওড়িশার ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগ দায়ের করা হবে। গোটা প্রক্রিয়া কোন পথে এগোচ্ছে তা আমি ডাক্তারবাবুকে জানাব।’ এদিকে পান্থনিবাসে চন্দ্রকান্ত দাস নামে একজন ম্যানেজার আছেন। তাঁর নাম ব্যবহার করেই যে প্রতারণার জাল বিছানো হয়েছিল, তা জেনে কার্যত হতবাক তিনি। কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন চন্দ্রকান্ত দাস।