বয়স তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ৮০ পেরিয়ে গেলেও, উদ্যম সেই একই। তাছাড়াও ঝড় আসছে, আর কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সুন্দরবন এলাকায় নেই, এই ছবিটা বোধ হয় উপকূল এলাকার কোনও মানুষই ভাবতে পারেনা। আর তাই ‘দানা’ আসছে শুনেই কান্তি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকার রায়দিঘিতে। ভয়াবহ আয়লা থেকে শুরু করে আমফান, ইয়াস, রেমাল সহ বিগত অনেক ঘূর্ণিঝড়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন এলাকা। এবারও ‘দানা’ নিয়ে সুন্দরবনবাসীর আতঙ্কের শেষ নেই। কারণ ঘূর্ণিঝড় মানেই সুন্দরবনের মানুষের কাছে ‘সব হারানোর ভয়’। ‘দানা’র প্রভাবে অশান্ত রূপ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার। কিন্তু ‘দানা’ আসার আগেই সুন্দরবনের উপকূল এলাকার রায়দিঘিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
রায়দিঘিতে পৌঁছে তিনি কুমোরপাড়ায় ঝড় মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা রয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘুরে দেখেন নদী বাঁধ এলাকাও। কথা বলেন সেখানকার প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে। এর পাশাপাশি ঝড়ের সময় কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করা উচিত সে বিষয়েও পরামর্শ দেন। আগেও বহু ঝড়, বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পাশে পেয়েছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে। বাম আমলে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। তবে বর্তমানে তিনি মন্ত্রী বা বিধায়ক কোন কিছুই নন। কিন্তু তারপরেও এই দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি পিছপা নন।
বয়সের ভারকে উপেক্ষা করেই মনের জোরে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায়। এই বিষয়ে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘প্রশাসন যোগাযোগ করেনি। করবেও না। তবে প্রতিবার আমি থাকি। যদি রাতে ঝড় আসে। আর পূবের হাওয়া হয়, তাহলে নদী বাঁধ টপকে জল ঢুকবে। ভাঙবে।’ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের এও অভিযোগ, ‘বাঁধের কাজ সেচ দপ্তর তো করে। ১০০ দিনের কাজে নদী বাঁধে মাটি দেওয়া হয়। গত চার পাঁচ বছর ধরে সেই মাটি দেওয়া হয়নি।’