কালীঘাটের বহু প্রতীক্ষিত স্কাইওয়াকের কাজ প্রায় শেষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন পেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে স্কাইওয়াকের। একই সঙ্গে, স্কাইওয়াক তৈরির সময় সরিয়ে দেওয়া হকারদের পুনর্বাসনের কাজও পুরোদমে চলছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের ধারে স্কাইওয়াকের পাশে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বাতানুকূল হকার্স কর্নার। হকারদের জন্য তৈরি অত্যাধুনিক এই ভবনে রয়েছে ১৭৬টি দোকান।
জানা গিয়েছে, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই হকাররা তাঁদের পুরনো জায়গা ছেড়ে নতুন এই ভবনে চলে আসবেন। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হকারদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ভবনে সবরকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কিছু দোকানদার দরজা আরও প্রশস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে পুরসভা প্রস্তাব দিয়েছে, দুটি দোকান ভেঙে দরজা চওড়া করা যেতে পারে। কিন্তু ভবনের ভেতরে কোন হকার কোথায় দোকান পাবেন, তা নির্ধারণ করবে হকার সংগঠন।
এর আগে, স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য কালীঘাট চত্বরের হকারদের সরিয়ে হাজরা ও যতীন দাস পার্কে পাঠানো হয়েছিল। নতুন কর্নারে তাঁদের স্থানান্তরের পর, যতীন দাস পার্কের অস্থায়ী দোকানগুলি ভেঙে ফেলা হবে। পার্কটি আবার আগের মতো সবুজায়ন করে সাজিয়ে তোলা হবে। পুরসভা আশা করছে, আগামী বছর শারদোৎসবের আগেই যতীন দাস পার্ক তার পুরনো চেহারায় ফিরে আসবে।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়েছিল কালীঘাট স্কাইওয়াকের নির্মাণ। পরিকল্পনা ছিল, দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার। তবে মাঝখানে কাজের গতি শ্লথ হওয়ায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঠিকাদারি সংস্থার ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর কাজের গতি বেড়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জানুয়ারির শুরুতেই হকাররা নতুন কর্নারে চলে গেলে পুরো এলাকা সাজানো হয়ে যাবে। দক্ষিণ কলকাতার এই স্কাইওয়াক শহরবাসীর জন্য নতুন বছরের বিশেষ উপহার হতে চলেছে। একই সঙ্গে, হকারদের পুনর্বাসন ও পার্কের পুনর্গঠন কলকাতার নাগরিক পরিষেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা।